শেষ মুহূর্তে বাঁশখালীর মোস্তাফিজের প্রার্থীতা বাতিল

৪৮

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বাঁশখালী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে ধমকানোর একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিওতে শুনা যায়, ভোটে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক কর্মীকে ছাড়াতে গিয়ে ওসিকে হুমকি-ধমকি দেন নানাকাণ্ডে বিতর্কিত এই এমপি।

ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, আজ তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন। এই কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগেও, এই প্রার্থী একাধিকবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এ আসনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্রের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবর রহমান।

প্রচার শুরুর পরদিন গত ১৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুরের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমানের সমর্থকরা। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে দুই পক্ষ।

থানায় মজিবুরের অনুসারীদের মামলা নেওয়ায় গত ২২ ডিসেম্বর বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।

পরে থানার ওসিকে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দেওয়ার ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুরের আচরণ সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান মোস্তাফিজুর। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।

প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।

পরে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে গত ২৬ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.