এবার ঢাকায় হবে সব কর্মসূচি

চট্টগ্রামে বিএনপির রোড মার্চ পরবর্তী সমাবেশে মির্জা ফখরুল

১৫

আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয়
ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

কর্মসূচিগুলো হল- খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ৯ অক্টোবর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র কনভেশন, ১৪ অক্টোবর সারাদেশে অনশন কর্মসূচি এবং ১৬ অক্টোবর ঢাকায় যুব সমাবেশ। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী নেভাল এভিনিউস্থ তিন রাস্তার মোড়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমূখী রোড মার্চ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বন্দুকের জোরে টিকে আছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামে জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। সব মানুষ আজ রাস্তায়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে বন্দুকের জোরে। ওরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সব মানুষের মুখে এখন একটাই স্লোগান, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি। ওই বার্তা আমরা নিয়ে এসেছি। অনেক কথা হয়েছে। রোডমার্চ, সমাবেশ হয়েছে। এটাই শেষ রোডমার্চ। এরপর আর রোডমার্চ হবে না। সব হবে ঢাকায়।

খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, মানুষ আজ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণ আজ চায় শান্তিপূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তর করুক। আপনার অধীনে আর নির্বাচন আমরা চাই না। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। মানুষ তার ভোট দিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচন করবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হত্যার রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না। আমরা শুধু এ মাস দেখব। সামনে দুর্গাপূজা, কঠোর আন্দোলনে আমরা যেতে চাই না। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা আজ নেই, শুধু তার শরীরটি আছে। সেই কুমিল্লা থেকে
শুরু করে লাখ লাখ জনতা আমাদের সাথে এই রোডমার্চে অংশগ্রহণ করেছে। বৃষ্টি হয়েছে, তবুও কেউ যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ আজ এই রোডমার্চ দেখে শেখ হাসিনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগ ও কুমিল্লা রোডমার্চের যে বার্তা শেখ হাসিনাকে দিয়েছে, সেই কপালের লিখন যদি তিনি পড়তে না পারেন তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য।

তারা বলছে, ভোটচোরদের ধরতে। এরা ভদ্র ভাষায় বলছে, আমরা ভোট চোরদের মানি না। তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এখনও সময় আছে। ফ্যাসিস্টরা কখনও
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হটাতে হবে।

সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকার তাদের ভোটচুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের আবার পাঁয়তারা করছে। সে পাঁয়তারা বন্ধে আমাদের পাহারা দিতে হবে। নিবিড়ভাবে নজরদারি রাখতে হবে। ছাড় দেয়া যাবে না। তারাও জানে, এবার তারা আগেরমতো ভোটচুরি করে পার পাবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

 

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.