নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: পাঁচ জঙ্গীর ফাঁসি

১৬৯

২০১৫ সালে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রায়ে আদালত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এই আদেশ দেন।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- এম সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান ও আবদুল গাফফারের। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। এদের মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক। বাকীরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন। এই মামলায় চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে সেখানে আসামি করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এই রায় দিয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দীন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। কোনও আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেই। ঘটনার দীর্ঘদিন পরে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় কোনও জব্দ তালিকাও নেই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.