বসুন্ধরা’র চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের নামে ৫শ’ কোটি টাকার মানহানি মামলা সামশুল হক চৌধুরীর

১৮,৫৫৮

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী ৫০০ কোটি টাকার একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার সকালে পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে হুইপের পক্ষে পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট দীপক কুমার শীল ক্ষতিপূরণ মামলাটি দায়ের করেন।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরী ও তাঁর ছেলে চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এ মানহানি মামলা করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, banglanews24 এবং নিউজ 24-এ এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহআলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলী সান সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন ও রিয়াজ হায়দার, কালের কণ্ঠের এস এম রানা, মোহাম্মদ সেলিম, এবং বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহারকে।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পুত্র সায়েম সোবহান আনভীর ব্যক্তিগত আক্রোশ ও শত্রুতামূলকভাবে বাদি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা, অনলাইন ও টিভিতে ১০০টির অধিক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানী করা হয়েছে। এ কারণে বাদির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে।একাধারে মিথ্যা মানহানীকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আইনের কাছেই প্রতিকার চাওয়া উচিত বলে মনে করেন হুইপ শামশুল হক চৌধুরী।

এদিকে হুইপ শামশুল হক চৌধুরীর ছেলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শারুন চৌধুরী তার ফেসবুক পেইজে লেখেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষেরই কিংবা গণমাধ্যমের একটি সহজাত অধিকার। কিন্তু এই মত প্রকাশ যখন হয় পত্রিকা মালিকের নিজস্ব ক্ষোভের প্রতিফলন এবং অন্যকে হেয় করবার বিশেষ মাধ্যম তখন আর সেটি মত প্রকাশ হিসেবে থাকে না। তখন এটি হয়ে ওঠে বিদ্বেষপূর্ণ এজেন্ডা বাস্তবায়ন।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে তাদের বিবেক বাঁধা দিচ্ছে। কিন্তু মত প্রকাশ ছাপিয়ে যখন কিছু সাংবাদিক ইচ্ছে করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন, তখন আসলে একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আদালতের কাছে এসব কুরুচিপূর্ণ আচরণ, বিদ্বেষ ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় থাকেনা’- যোগ করেন শারুন। প্রেস কাউন্সিলেও অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান শারুন চৌধুরী। মিডিয়া মালিকের ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত শত্রুতার উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রের ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.