চট্টগ্রামে প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ: সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জামায়াতের

চট্টগ্রাম মহানগরীসহ সারাদেশে ভয়, অনিশ্চয়তা ও গভীর উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়ানবাজারস্থ চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে একের পর এক গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটছে জনবহুল এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে শরিফ উসমান হাদি নিহত হলেও খুনিচক্র এখনো গ্রেফতার হয়নি। মিরসরাইয়ে জুলাই যোদ্ধা হত্যাকাণ্ড এবং খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকার ঘটনাও গভীর উদ্বেগজনক।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর বায়েজিদ থানার চালিতাতলীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। ওই ঘটনায় বিএনপির নগর আহ্বায়কসহ আরও অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ২০২৪ সালের মার্চে বাকলিয়া এক্সেস রোডে মো. আব্দুল্লাহ আল রিফাত ও মো. বখতিয়ার হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মে মাসে পতেঙ্গা সৈকতে আলী আকবর এবং অক্টোবরে বাকলিয়ায় সাজ্জাদ হোসেন নিহত হন, যেখানে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির অভিযোগ রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হলেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েক দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এসব হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

সিএমপি কমিশনার নির্বাচনের আগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে অ্যালার্মিং হিসেবে উল্লেখ করে গণসংযোগের ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে—ইনশা-আল্লাহ।

কর্মপরিষদ বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীসহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ ও কর্মপরিষদ সদস্যরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.