বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা: মূলহোতাসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাকিম হত্যা মামলার মূলহোতা ও তার সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. আব্দুল্লাহ খোকন ওরফে লেংড়া খোকন, মো. মারুফ, জিয়াউর রহমান, মো. সাকলাইন হোসেন, মো. সাকিব ও শাহেদ।

পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন সকালে তিনি নিজ প্রাইভেটকারে হামিম এগ্রো ফার্মে যান এবং বিকেলে শহরে ফেরার পথে মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও হাটহাজারী থানা পুলিশ তদন্তে নামে।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি সাইফুল ইসলাম জানান, ৩১ অক্টোবর রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহ পাড়া থেকে মূলহোতা খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

খোকনের দেয়া তথ্যে ২ নভেম্বর চৌধুরীহাট থেকে সহযোগী মারুফকে এবং তার তথ্যের ভিত্তিতে ৪ নভেম্বর রাতে সাকলাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাকলাইনের হেফাজত থেকে একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও জানান, রিমান্ডে থাকা আসামিদের তথ্য অনুযায়ী ৯ নভেম্বর রাতে রাউজানের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি শটগান, বিপুল পরিমাণ গুলি, ইয়াবা, গাঁজা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন,

“বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.