নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি

আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেট দলের ৩৪ বছর বয়সী তরুণ প্রার্থী জোহরান মামদানি। তিনি সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসেবেও নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বিরোধিতার মুখেও বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেন এই তরুণ নেতা।
ভোটের হিসাব অনুযায়ী—

মামদানি উইনস:১০,২৭,৮৩৯ ভোট (৫০.৪%)

কুওমো: ৮,৪৯,০৬৭ ভোট (৪১.৬%)

স্লিমা:১,৪৫,৪২৮ ভোট (৭.১%)

জোহরান মামদানি মূলত উগান্ডার বাবা ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত মায়ের সন্তান। নির্বাচিত হয়ে তিনি বলেন, তিনি গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন এবং নিউইয়র্ককে একটি ন্যায়ভিত্তিক মানবিক শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ইসরায়েল-গাজা ইস্যুতে বলেছিলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে কাজ করবেন। নির্বাচিত হলে তিনি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।

এই নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছেন—যা ১৯৬৯ সালের পর সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি।

ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে মামদানি এখন ওই সংগঠনের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ নির্বাচিত কর্মকর্তা হবেন।

তিনি তার প্রচারে জীবিকার ব্যয় সংকট ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে জোর দেন। এই খাতে অর্থ যোগাতে তিনি ধনী ও করপোরেটদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।

তবে তার এই সাফল্যে মধ্যপন্থি ডেমোক্র্যাটরা উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা—মামদানির নীতিগুলো শহরে আর্থিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। আবার ইসরায়েল বিষয়ে তার মন্তব্য ও ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন কিছু সমালোচকের মতে ইহুদি-বিরোধী মনোভাব বাড়াতে পারে।

এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় সূচনা করলেন জোহরান মামদানি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.