চট্টগ্রামের পটিয়া সহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের  কিছু এলাকা ‘পানি সংকটাপন্ন’ ঘোষণা: এলাকাগুলোর জন্য কঠোর কিছু নির্দেশনা 

বিস্তারিত সংবাদ:
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (৩০ অক্টোবর):
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকা পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। পানি সংকটাপন্ন এলাকার সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও ভূগর্ভস্থ পানি ধারক স্তর সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গত ২৮ অক্টোবর এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারি অনুসন্ধান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপের ভিত্তিতে জানা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নকে অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, ৪০টি ইউনিয়নকে উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, এবং ৬৬টি ইউনিয়নকে মধ্যম পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার পটিয়া পৌরসভার ৫টি মৌজা অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এবং ৩টি মৌজা উচ্চ পানি সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৭টি মৌজা অতি উচ্চ, ৯টি ইউনিয়নের ২৭টি মৌজা উচ্চ এবং ৮টি ইউনিয়নের ৩০টি মৌজা মধ্যম পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
পানি সংকটাপন্ন এলাকাগুলোর জন্য সরকার কিছু কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—

খাবার পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে নতুন নলকূপ স্থাপন বা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ থাকবে।

ভূগর্ভস্থ পানি নির্ভর নতুন শিল্প বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না।

জলাধার, নদী, বিল, পুকুর বা খাল ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ।

জলাশয়সমূহ জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং খাস জলাশয় ইজারা প্রদান নিরুৎসাহিত করতে হবে।

জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না এবং কোনো জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।

অধিক পানি নির্ভর ফসল উৎপাদন নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং পানি সাশ্রয়ী ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে।

নদী, লেক, জলাভূমি বা অন্যান্য জলাশয়ে কোনো ধরনের অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলা বা দূষণ করা যাবে না।

এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৯ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.