র্যাবিজ ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ সিটি মেয়র ডা. শাহাদাতের
চট্টগ্রামকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে নগরবাসীর প্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) টাইগারপাসস্থ চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় মেয়র চসিকের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, মেডিকেল অফিসার (পুরুষ) পদে ৭ জন, মেডিকেল অফিসার (মহিলা) পদে ১৬ জন, টেকনিশিয়ান (রেডিও ইমেজিং) পদে ১ জন, টেকনিশিয়ান (প্যাথলজি) পদে ৩ জন, ফার্মাসিস্ট পদে ২ জন, টেলিফোন অপারেটর কাম রিসেপশনিস্ট পদে ১ জন, মিডওয়াইফ পদে ২ জন এবং আয়া পদে ১৪ জনকে স্থায়ী করা হয়েছে।
এছাড়া চসিক পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে দীর্ঘদিন কর্মরত দুইজন প্রভাষক, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আটজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) এবং একজন মালিকেও স্থায়ী করার ঘোষণা দেন মেয়র।
সভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামকে হেলদি সিটি হিসেবে গড়তে হলে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সময়নিষ্ঠ, আন্তরিক ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে রোগীদের সেবা দিতে হবে। আমি নিজে বিভিন্ন সময় হঠাৎ পরিদর্শনে যাই, তাই সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হয়েছে, যা ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুর জন্য উন্মুক্ত। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্কুলগামী ও অ-স্কুলগামী শিশুদের টিকা নিতে উৎসাহিত করতে হবে।”
র্যাবিজ ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, “যদি কোনো এলাকায় ভ্যাকসিন ঘাটতি থাকে, তা দ্রুত আমাকে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবেন—যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে মেয়র জানান, শিশুদের জন্য নিওনেটাল আইসিইউ স্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। পাশাপাশি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন ও চসিক হাসপাতালসমূহে অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “অনেক রোগী আর্থিক অসুবিধার কারণে চিকিৎসা নিতে পারেন না। চসিক এসব মানুষের পাশে থাকতে চায়। প্রয়োজনে ফ্রি মেডিসিন সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাইরের ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে রোগীরা যেন অন্তত ৩০ শতাংশ ছাড় পান, সে ব্যবস্থাও রাখা হবে।”
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.