চট্টগ্রাম কাস্টমসের অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের জনস্বাস্থ্যের মারাত্বক ক্ষতিকর ঘনচিনি আটক

১৭

চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জনস্বাস্থ্যের মারাত্বক ক্ষতিকর প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ সাড়ে ৬০ হাজার কেজি ঘনচিনি আটক করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, ঢাকা এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা তিনটি কন্টেইনার থেকে ৬০হাজার ৪৮০ কেজি ঘনচিনি জব্দ করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এইচ পি ইন্টারন্যাশনাল (ঠিকানা: জীবন বীমা ভবন, ১২১, মতিঝিল পোস্ট অফিস, ঢাকা-১০০০) চীনের গুয়াংজু বন্দর থেকে “সোডা অ্যাশ লাইট” ঘোষণা দিয়ে গত ১৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পণ্যটি আমদানি করে। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর খালাসের জন্য , চট্টগ্রামে উত্তর কাট্টলীস্থ (সিটি গেইট) গোল্ডেন কন্টেইনার লিঃ, নিয়ে যাওয়া হয়।

পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস পণ্যের খালাস স্থগিত করে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা পরিচালনা করে। পরীক্ষার পর নমুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব এবং কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ল্যাবে পাঠানো হয়। তিনটি ল্যাবের পরীক্ষায়ই পণ্যটি ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত হয়।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি দিয়ে তৈরি খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় সরকার এটি আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ কারণে কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুসারে পণ্যচালানটি আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আটককৃত চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা, এবং এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-করহার ৬১.৮০ শতাংশ। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের এ সফল অভিযান প্রশংসিত হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.