অনুপম সেন ও ইব্রাহীম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে ১০০১ সদস্যের কমিটি

সিআরবি রক্ষায় প্রয়োজনে দিনের পর দিন অনশন : ড. অনুপম সেন

২,৮১৩

সিআরবিতে হাসপাতাল বিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। দীর্ঘ দিন আন্দোলনের পরও কর্তৃপক্ষের অনঢ় অবস্থানের কারণে এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (২৮ জুলাই) এ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিআরবি রক্ষায় নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম-এর ১০০১ সদস্য বিশিস্ট ঘোষণা করা হয়। এতে সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেনকে চেয়ারম্যান ও এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলকে সদস্যসচিব করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, চট্টগ্রাম শহর আজ পরিণত হয়েছে ‘ইটের পরে ইট’ বিশিষ্ট একটি নগরে। বর্তমানে প্রকৃতির অসীম দানে-ঋদ্ধ সিআরবির মতো এ রকম বড় উন্মুক্ত স্থান চট্টগ্রামে আর নেই। শতবর্ষী বৃক্ষরাজি পাহাড়, টিলা ও উপত্যকায় ঘেরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত অনন্য প্রাকৃতিক স্থান সিআরবি ধ্বংসের পাঁয়তারা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সিআরবি থেকে এই বেনিয়া গোষ্ঠীকে তাড়াতে প্রয়োজনে দিনের পর দিন অনশন করতেও প্রস্তুত আমি।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউএম সিরাজুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান, বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, কবি কামরুল হাসান বাদল, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল ইসলাম বাবু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশ, সাংবাদিক আলীউর রহমান, সংস্কৃতি সংগঠক স্বপন মজুমদার, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ সংগঠক শরীফ চৌহান, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, কমিটি করার একটাই উদ্দেশ্য সিআরবি রক্ষার আন্দোলন বেগবান করার পাশাপাশি একমুখী করা। কারণ চট্টগ্রামের সংবেদনশীল একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি সিআরবি রক্ষার এ আন্দোলন সমর্থন করেন না। আমরা চাই আন্দোলনটা বিক্ষিপ্ত ভাবে না হয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে না করে জোটবদ্ধভাবে হোক। সে লক্ষ্যেই এ কমিটি গঠন। যারাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তিনি হোন ব্যক্তি কিংবা কোনো সংগঠনের প্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রতিটি মানুষই এ সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয়, শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ খোরশেদ আলম সুজন, রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান, পরিবেশবিজ্ঞানী ড. ইদ্রীস আলী, ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সেন, স্থপতি আশিক ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, রাজনীতিক মাজহারুল হক শাহ প্রমুখ।

যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে আছেন কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, সাংবাদিক মহসীন কাজী, সংগঠক শরীফ চৌহান, সংগঠক স্বপন মজুমদার প্রমুখ।

কার্যকরী সদস্য হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এএইচএম জিয়াউদ্দিন, সাংবাদিক হাসান আকবর, সাংবাদিক তপন চক্রবর্ত্তী, সাংবাদিক আসিফ সিরাজ, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাংবাদিক শুকলাল দাশ, শিক্ষকনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, সংস্কৃতি সংগঠক সুনীল ধর, সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা, সাংবাদিক আলীউর রহমান, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, দীপেন চৌধুরী, সুজিত চক্রবর্ত্তী, রাজনীতিক হাসান মনসুর, রাজনীতিক মিঠুল দাশগুপ্ত, সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্ত, সাংবাদিক মহরম হোসাইন, সাংবাদিক আসমা বীথি, সাংবাদিক মিঠুন চৌধুরী, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্না, সাংবাদিক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, টিটু দত্ত, রাহুল দত্ত, কবি আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, সাংবাদিক মিনহাজ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান তারেক, নূরুল আজম রনি, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন জিকু, সাংবাদিক সুজিত সাহা, সাইদুল ইসলাম, রাহুল দাশ নয়ন, সুবল বড়ুয়া, উমর ফারুক, নারীনেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, জেসমিন সুলতানা পারু, সাহেলা আবেদীন লিমা, আবৃত্তিকার মিলি চৌধুরী, সাবের শাহ, দিলরুবা খানম, সালাউদ্দিন শামীম, মাহমুদুল করিম, সংস্কৃতি সংগঠক অহিদ সিরাজ স্বপন, নজরুল ইসলাম জয়, যন্ত্রশিল্পী প্রবীর দত্ত সাজু, অসীম বরণ চন্দ, চারুশিল্পী বিজন মজুমদার প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.