রাউজানে নারী কর্মকর্তাকে চেয়ার ছুড়ে মারা যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে নারী উপজেলা কর্মকর্তাকে (পিআইও) চেয়ার ছুড়ে মারা সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবদল নেতার নাম মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামকে (৪৩)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পৌরসভার ফকিরহাট ডিউবিজি শপিং সেন্টারের দোতলার একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল রাতে ওই ঘটনায় থানায় মামলা করেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা (৩৮)। মামলায় তিনি যুবদল নেতা শহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন।
গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম ওরফে কালা শহীদ রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ নগর গ্রামের শরীফ বাড়ির মৃত মাদুল ড্রাইভারের ছেলে। তিনি পৌরসভা যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া জানান, পিআইও’র উপর হামলার ঘটনায় জড়িত শহীদকে গ্রেপ্তারের পর আজ দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা নিজ অফিস কক্ষে হামলার শিকার হন। এ সময় গিয়ে কালা শহীদ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাতের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায় শহীদ। এ ঘটনায় ওই নারী প্রকল্প কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তিন মাস ধরে রোজ কয়েকবার করে পিআইও কার্যালয়ে এসে যুবদলের ত্যাগী নেতা পরিচয়ে শহীদ কাজ তাঁকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এক মাসে আগে অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে গেলে পিআইও আয়েশা সিদ্দিকা তাঁকে বের করে দেন। এ সময় আয়েশা সিদ্দিকাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শহীদ। গতকাল বিকেলে আবারও পিআইও কার্যালয়ে এসে কাজের দাবিতে বিরক্ত করছিলেন শহীদ। তখন পিআইও তাঁর চেয়ারে বসা ছিলেন। শহীদকে পিআইও বলেন, কার্যালয়ে এসে বিরক্ত করে কোনো লাভ হবে না, জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাজ ও প্রকল্প দেওয়া হয়। এই কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে শহীদ চেয়ার হাতে নিয়ে পিআইওর দিকে ছুড়ে মারেন। সেটি গিয়ে টেবিলের ওপর পড়ে। এতে গ্লাস ও টেবিল ভেঙে যায়। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ভাঙচুরের শব্দ শুনে দৌড়ে এলে পালিয়ে যান শহীদ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.