নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে, দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে : আযম খান
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আগামীর নির্বাচন হবে কঠিন। কোন জাল জালিয়াতির সুযোগ নেই। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাই স-ুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বিএনপি নেতাকর্মীদের। আগামী নির্বাচনে যাতে চট্টগ্রাম দক্ষিণের ৬টি আসন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে তুলে দিতে পারেন সেজন্য এখনই জনগণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাইতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জন-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ৫ই আগস্ট ফ্যাঁসিবাদের পতন হওয়ার পরে আমরা জনগণ ভেবেছিল ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার, মানবাধিকার রক্ষা ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। তাই আমরা যারা মাঠে থেকে জানপ্রাণ লড়াই করেছিলাম তারা ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্বৈরাচার পতনের পর শুরু হয়েছে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র। স্বৈরাচারী হাসিনা যেমন বলত আগে উন্নয়ন পরে নির্বাচন। ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রকারীরাও এখন বলছে আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। তাই আবারো জনগণকে মাঠে নামতে হচ্ছে।
এসময় বিএনপির এ নেতা হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা জনগণ মেনে নিবে না। টালবাহানা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে সম্মানের সহিত বিদায় জানাতে চাই জনগণ। তাই আগামী ৫ অক্টোবর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে এরপরে ৫ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আযম খান অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা শুধু নির্বাচনী সংস্কার করবেন। দেশের সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। দেশ সংস্কারে দেশনায়ক তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষনা করেছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাঁসিবাদের পতনের পরে যেই সরকার গঠিত হ’য়েছে ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সমর্থন করেছি। কিন্তু তারা সংস্কারের নামে নির্বাচনকে কালবিলম্বিত করতে চায় তাই জনগণকে নিয়ে বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। মানুষ এখন নির্বাচনের মুখাপেক্ষি হয়ে আছে।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সমাবেশ স্থল আনোয়ারার সন্তান সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচারের বিষয়টি তুলে ধরে যারা দুর্নীতি, গুম, খুন, গণহত্যার সাথে জড়িত সকল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সাথে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ারও জোর দাবী জানান তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির মাধ্যমে শুরু হলো ঐক্যের বাতাস। বাংলাদেশের সবখানেই শুধু একটি আওয়াজ উঠেছে; তারেক রহমানই আগামীর প্রধানমন্ত্রী ইনশাল্লাহ।
ব্যারিস্টার হেলাল আরো বলেন, যেই নেতা নিজের ভাইয়ের জানাযা পড়তে পারেনি, মুমূর্ষু মায়ের পাশে থাকতে পারেনি, সেই নেতা দেশের ক্রান্তিকালে মূল নায়কের ভূমিকা নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে ৫আগস্টে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটিয়েদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে আসার আর সম্ভাবনা নেই। তাই তাদের নিয়ে কথা বলারও প্রয়োজন নেই। এখন কথা হবে আন্দোলন নিয়ে। মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নেতৃত্বে ৪ সপ্তাহের আন্দোলনে ১৭ বছরের স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত
জন-সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ন আহবায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, শাখাওয়াত জামান চৌধুরী দুলাল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, এস এম ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, জামাল হোসেন, এস এম মামুন মিয়া, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হুসাইনী, আবদুল গফফার চৌধুরী, মাষ্টার লোকমান, ইসহাক চৌধুরী, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, রাসেল ইকবাল মিয়া, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, সাজ্জাদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, রেজাউল করিম নেছার, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, এহসানুল মৌলা, নুরুল কবির, হাজী রফিকুল আলম, নওয়াব মিয়া, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, লোকমান হাকিম মানিক, জসিম উদ্দিন আবদুল্লাহ, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, শওকত আলম চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল চেয়ারম্যান, জসিম উদ্দিন, মোকতার আহমদ, হাজি ওসমান, গোলাম রসুল মোস্তাক, মোজাম্মেল হক, মাষ্টার রফিক আহমদ, খোরশেদ আলম আইয়ুব, কামাল উদ্দিন, বাবু খান, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, আবদুল জলিল, মাষ্টার জসিম, জাহেদুল হক, ইঞ্জি: হারুনুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনজুর আলম তালুকদার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজগর, মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবি, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মহসিন খান তরুন, ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট আবু তাহের, মেহেদী হাসান সুজন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.