নদভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, আরো ৫ মামলায় গ্রেপ্তার
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমদ লাভলু জানান, “দুদক উনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে। এই আবেদন অনুসন্ধানের প্রাথমিক পদক্ষেপের অংশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক (ডিডি) নাজমুচ্ছায়াতের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইআইইউসির সাবেক চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সম্মানির নামে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আমাকে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বর্ণিত পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নদভীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আবশ্যক।
অন্যদিকে বুধবার সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ১২ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তাকে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় দায়ের হওয়া মোট ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ওই মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন নদভী।
নদভী চট্টগ্রাম-১৫ (আংশিক সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেবের কাছে হেরে যান। তার বিরুদ্ধে নিজ সংসদীয় এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জামায়াত নিয়ন্ত্রিত চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার অভিযোগ রয়েছে নদভীর বিরুদ্ধে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.