মিরসরাইয়ে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষে একজন নিহত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পৌরসভা বিএনপি ও যুবদল নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মো. মুন্না (২২) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৬ জন। তাঁরা হলেন মো. আরাফাত (২৩), আসিফ (২১), হাসান (২১), সজীব (২০), রাহাত (২৪), রাশেদ (২২) ও হৃদয় (২১)।

গতকাল সোমবার রাত ১১টায় মিরসরাই পৌর সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিরসরাই বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত মুন্না মীরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেবা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান সরকার জানান, ‘সোমবার রাত ১১টার দিকে পৌর সদরে মারামারির ঘটনায় আহত আট যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মো. মুন্নার অবস্থা ছিল গুরুতর। তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত ছিল। সেখান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছি। সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হোসেন ও পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক যুবক নিহত হয়েছে। ওই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছে। তার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মেলা নিয়ে আমাদের কোন কনসার্ন নেই সমর্থনও ছিলো না। প্রশাসন কিভাবে মেলার অনুমতি দিয়েছে সেটা উনারা ভালো জানে। এই যে লাশ এই বিষযটি উনারা কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.