দলটা খেলেছিল প্রাণভোমরা নেইমারকে ছাড়াই। তাতে জয়ের ধারাতেও ছেদ পড়ল। ইকুয়েডরের সঙ্গে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছে ১-১ গোলে। তবে তাতে কী, কোপা আমেরিকার শেষ আটে ‘বি’ গ্রুপের সেরা দল হিসেবেই গিয়েছে ব্রাজিল।
কোচ তিতে নেইমারকে এ ম্যাচে কেন রাখেননি সে কারণটা পরিষ্কার। নিষেধাজ্ঞা থেকে যে একটা হলুদ কার্ড দূরে আছেন পিএসজি তারকা। একাদশ দেখেই অবশ্য আন্দাজ মিলেছে, নিষেধাজ্ঞার মুখে না থাকলেও হয়তো নেইমারকে এদিন দেখা যেত না মাঠে।
গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। কোচ তিতে তাই এদিন মাঠে নামিয়েছিলেন আগের ম্যাচে না থাকা দশজন খেলোয়াড়কে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচ থেকে দিন দলে ছিলে মাত্র একজন, ডিফেন্ডার মারকিনিওস।
নেইমারকে ছাড়া নামা ব্রাজিলের পায়ে ছিল বলের দখল। তবে গ্রুপের সর্বশেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার নিশ্চিত করা ইকুয়েডরের বিপক্ষে অবশ্য বিষয়টা অনুমিতই ছিল। তবে প্রতিপক্ষ রক্ষণ পর্যন্ত যেতেই যেন ঘাম ছুটে যাচ্ছিল তিতের শিষ্যদের।
নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুসদের পরিবর্তে নামা ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল বারবোসা গাবিগোলরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের শেষ ম্যাচে। তবে এরপরও বিরতিতে ব্রাজিল গিয়েছিল এগিয়ে থেকেই। তার পুরো কৃতিত্ব যাবে ডিফেন্ডার এডার মিলিতাওয়ের দখলে।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে তার গোল এগিয়ে দিয়েছিল সেলেসাওদের। সে গোলে এগিয়েই বিরতিতে গিয়েছিল তিতের দল। তবে ফিরে এসেই যেন ভজকট পাকাল ব্রাজিল রক্ষণ। তাতে ফাঁকায় থাকা ইকুয়েডর স্ট্রাইকার আনহেল মেনা ৫৩ মিনিটে ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান বল। ১০ বছর পর ৫ বারের বিশ্বজয়ীদের জালে অবশেষে গোলের দেখা পায় দলটি।
এরপর একের পর এক গোলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ব্রাজিলের। এক মনে রক্ষণকাজটা করে গেছে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ। তাতে শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় ইকুয়েডর। আর বিদায়ঘণ্টা বাজে ভেনেজুয়েলার।
এই ড্রয়ের পরেও ব্রাজিল আছে শীর্ষেই। আর কোয়ার্টার নিশ্চিত করা বাকি তিন দল হচ্ছে যথাক্রমে পেরু, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর। শেষ আটে নেইমারদের প্রতিপক্ষ কারা হবেন, সেটা জানা যাবে আগামীকাল। আর আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে গেছে এই ম্যাচে ড্র করা ইকুয়েডরকে।