স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে : মেয়র রেজাউল

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে মন্তব্য করে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় বলতে পারি এটা কোনো সাধারণ আন্দোলন ছিল না, এটা ছিল রাষ্ট্রধ্বংসের আন্দোলন। এটা যদি আন্দোলনই হয় তবে, সেতু ভবন, মেট্রোরেল স্টেশন, হানিফ ফ্লাইওভার, বিটিভি, পুলিশ বক্স এগুলো কী দোষ করেছে? এগুলো কেন ধ্বংস করা হলো? আন্দোলনের নামে টোকাই, ভাড়া করা লোক, বেকার যুবকদের দিয়ে দেশজুড়ে নাশকতা চালানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, পুলিশের একজন সদস্যকে মেরে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হলো। মুরাদপুরে ছয়তলা ভবন থেকে স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্রদের নির্মমভাবে ফেলে দেওয়া হলো। জনগণের স্বপ্নের প্রকল্পগুলোতে বেছে বেছে হামলা চালানো হলো। এগুলোর পেছনে আসলে ছাত্ররা ছিল না, মূলত কোমলমতি ছাত্রদের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধীরা এই নাশকতা চালিয়েছে। এজন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪১টি ওয়ার্ডে জনগণের জান-মাল রক্ষায় কাউন্সিলরদের সভাপতি করে কমিটি করা হচ্ছে। কমিটিতে এলাকার মসজিদগুলোর ইমাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানসহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সদস্য করা হবে। আমরা মানুষকে সচেতনতন করব। শোককে শক্তিতে পরিণত করে নাশকতামূলক যেকোনো কর্মকাণ্ড তৃণমূলেই রুখে দেব।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, তাসমিয়া তাহসিন প্রমুখ।

এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুরাদপুরে নাশকতাকারীদের হামলায় নিহত মো. ওমর ফারুকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে নিহত ওমর ফারুকের স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। মেয়র তাদের সমবেদনা জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ব্যক্তিগতভাবে তাদের আর্থিক সহায়তা দেন এবং ওমর ফারুকের সন্তানদের সিটি করপোরেশনের স্কুলে বিনামূল্যে লেখাপড়ারও ঘোষণা দেন।