শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরীতে ১ হাজার ৩২১ কেন্দ্রে ৫ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৮৫ হাজার শিশুকে একটি করে নীল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের (২ লাখ আইইউ) ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেন রানা।
তিনি বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং শিশুকে অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে।
এ সময় তিনি জানান জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতে গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে বেশি পরিমাণ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) ও হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাক এবং জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে শাল দুধ ও ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিক ৬-১১ মাসের ৭৯ হাজার ৮৯৫ শিশুকে নীল ও ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ডা. টি চক্রবর্তী, সুমন তালুকদার, হাসান মুরাদ চৌধুরী, জুয়েল মহাজন, আকিল মাহমুদ নাফে, আবু সালেহ, হোসনে আরা, দিদারুল মুনির রুবেল, শাহনাজ আকতার, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।