চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ঘাট রক্ষায় মাঝিদের বৈঠা বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মাস্টার প্ল্যান ২০১৪ অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতার রক্ষার দাবিতে বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে চট্টগ্রাম ইছানগর, বাংলাবাজার, ইছানগর সদরঘাট ও চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির মাঝিরা ঘাটের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়। এই সময় সকল মাঝিরা তাদের সাম্পান নিয়ে কর্ণফুলীর মাঝখানে অবস্থান নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
ধর্মঘট চলাকালীন সমাবেশে বক্তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ গঠিত স্ট্রেটেজিক মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষা ও প্রকৃত সাম্পান মাঝিদের ঘাট ইজারা দেওয়ার দাবী অচিরেই বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, যারা স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারাই এখন নদী দখল করে দেশের সর্বনাশ করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, নদী দখল, তীর দখল ঘাট দখলের অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চের সাথে সাম্পান মাঝি ও তাদের সংগঠনের নেতারা একজোট হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে সাম্পান মাঝিদের অবদান অবিস্মরণীয়। কর্ণফুলী নদী ও তাদের রুটি রুজি রক্ষায় তারা সবাই বৈঠা হাতে নিলে আপনারা যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে দেশের সর্বনাশ করছেন আপনাদের রক্ষা হবে না। এ সময় মাঝিরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংগঠনের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করার দাবি জানান।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, প্রধান সমন্বয়ক চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, রাজনৈতিক ও পরিবেশ সংগঠক মিতুল দাশগুপ্ত, নারী নেত্রী হাসিনা আকতার টুলু, বিপ্লবী তারেকেশ্বর দস্তিদার পরিষদের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম সিকদার বাপ্পি, আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক দিলরুবা খানম, শিক্ষিকা রোপি দাশ, রোজি চৌধুরী, কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন আবুল, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ আকরাম, রাশেদ, আবুল কালাম।