ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা খ্যাত আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলার ১১৪তম আসর বসছে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি এলাকায়। লালদীঘি মাঠে প্রস্তুত কুস্তি প্রতিযোগিতার মঞ্চ। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল)। আর কুস্তি খেলাকে ঘিরে সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনের মেলা।
মেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রসিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের একজন সিলেটের জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এসেছেন বেতের তৈরি ফার্নিচার নিয়ে। বেত ও বাঁশের সমন্বয়ে তৈরি ডিভাইনের দাম ধরেছেন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার। বিভিন্ন ক্যাটাগরির সোফা সেট দাম ধরেছেন ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার বেচা
মেলা কমিটি সহ-সভাপতি ও চ্যানেল আই’য়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক নেতা চৌধুরী ফরিদ বলেন, মঙ্গলবার লালদীঘি মাঠে জব্বারের বলী খেলার ১১৪তম আসরে জমজমাট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের নাম করা বলিরা রেজিস্ট্রেশন করছেন। মেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তাদের পন্যের পসরা সাজিয়েছেন।
চৌধুরী ফরিদ আরও বলেন, বুধবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে চাটগাঁইয়া ঈদ উৎসব। মেলায় চট্টগ্রামের সকল পেশার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিবেন। চাটগাঁইয়া উৎসবে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখায় আন্দরকিল্লা থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত ঝাড়ু, হাতপাখা, শীতলপাটি, মাটির তৈজসপত্র, দা-খুন্তি, মণ্ডা-মিঠাইসহ গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। আছে গাছের চারা, তামা-কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্রের সাথে বাদ্যযন্ত্র, দোলনা, মাছ শিকারের চাই, বেত-বাঁশের মোড়াসহ নানান সামগ্রী।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নার্গিস সুলতানা বলেন, আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ সারাবছর অপেক্ষা থাকেন এই মেলার জন্য। এখানেই মিলে গৃহস্থালীর সব জিনিসপত্র। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা টুকটাক করে অনেক কিছু কিনেছি। ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি সৌখিন জিনিসপত্রও মিলে এই মেলায়।
প্রসঙ্গত, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ও শরীর গঠনে উৎসাহিত করতে ১৯০৯ সালে নগরীর বক্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে কুস্তি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। কালের বিবর্তনে এটি ঐতিহাসিক একটি খেলার মর্যাদা লাভ করে। দেশ-বিদেশে চট্টগ্রাম নামটির সাথে জব্বারের বলী খেলাও একটি অনুসঙ্গ। ঐতিহাসিক এই বলীখেলায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলা থেকে তো বলীরা অংশগ্রহণ করেনই, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা বয়সী বলীরা অংশগ্রহণ করেন।