এক মোটরসাইকেল উদ্ধারে গিয়ে মিললো আরও ২৩টি

চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হওয়া ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় চুরির ঘটনায় চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরেন সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ চক্রের অন্যতম হোতা মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রকাশ বাবুলকে একটি চোরাই Hero Honda Splendor মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২৩টিসহ মোট ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদারের নেতৃত্বে এসআই মোমিনুল হাসান, বাবলু কুমার পাল, এসআই মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোশাররফ হোসাইন, খায়রুল বাসার সাজিদ, এএসআই সাইফুল আলম, রণেশ বড়ুয়া, কনস্টেবল রুবেল মজুমদারের সমন্বয়ে টিম কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মিঠন ধর ও বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের চুরির কাজের সহযোগী শাহেদ, রিপন, খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যে মোটরসাইকেলগুলো জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হয়।

গ্রেপ্তার মিঠন ধর সাতকানিয়ার আমিরাবাদের ধনরাম ধরের ছেলে এবং খোরশেদ আলম একই এলাকার নুরুল আব্বাসের ছেলে। মিঠন এর আগে শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করলেও মামলা আছে মাত্র তিনটি। খোরশেদ একই অপরাধে এক মামলার আসামি।
বাবর সন্দ্বীপের গাছুয়ার আব্দুল বাতেনের ছেলে, শাহেদ কালাপানিয়ার শাহজাহানের ছেলে রিপন একই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। বাবরের নামে নগরীর কোতোয়ালী থানার ও খুলশী থানায় মোটরসাইকেল চুরির একটি করে মামলা আছে।

তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী ও ওসি কোতোয়ালী জাহিদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

Cmp