চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সাক্ষাত করেছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান।
১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সংগঠনকে শক্তিশালী করা, সম্মলেন, বিএনপির আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে আলোচনায় হয়। ১৯ সদস্যের প্রত্যেকেই বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। সবার শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনামূলক ব্ক্তব্য দেন।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সেক্রেটারি আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নগর আওয়ামী লীগের ১২ নেতা এবং যুগ্ম সম্পাদক ও চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ নেতা গণভবনে প্রবেশ করেন। দুপুর ১টায় শুরু হওয়া বৈঠকটি তিনটায় শেষ হয়। এসময় প্রত্যেকেই বক্তব্য রাখার সুযোগ পান দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার সামনে। শেখ হাসিনা প্রত্যেকের কথা শুনেন এবং শেষে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। পৃথকভাবে তারা প্রবেশ করলেও সকলেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একসাথেই সাক্ষাত করেন। এবং এক টেবিলেই দুপুরের খাবার খান।
জানা গেছে, মাহতাব-নাছিরের নেতৃত্বে গণভবনে প্রবেশ করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, সদস্য বেলাল আহমদ, ড. নেছার উদ্দীন মঞ্জু, জাফর আলম, আবদুল লতিফ টিপু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক বিজয় কিষাণ চৌধুরী।
অপরদিকে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে গনভবনে প্রবেশ করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম ও কোষাধক্ষ আবদুচ ছালাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী রমজানের আগে ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করতে বলেছেন। ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলনের পরে দ্রুততম সময়ে থানা সম্মেলন শেষ করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের তৃণমূল পর্যায়ে ত্যাগী ও নিবেদিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও প্রবীণ সদস্যদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেন। বিএনপির অপপ্রচার ও আন্দোলনের নামে নাশকতাসহ সকল ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্তকভাবে মোকাবেলা করারও নির্দেশনা দেন। এছাড়াও তৃণমূল ও সকল নেতাকর্মীদের এ সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। ’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে এ পর্যন্ত ১৩২টি ইউনিটের মধ্যে ১২৪টি ইউনিট সম্মেলন সম্পন্ন হলেও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে সম্মেলন হয়েছে মাত্র তিনটিতে। আর ১৫ থানার মধ্যে একটিরও সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।