বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে সড়কের পাশে থাকা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে।
এতে পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির সমাবেশ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুর দুইটা থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে দলীয় কার্যালয়ের দিকে মিছিলে মিছিলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
বিকেল তিনটার পর কাজির দেউড়ি মোড় থেকে একটি মিছিল নূর আহমেদ সড়কের দিকে যাবার সময় হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের দাবি, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে ও সড়কের পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং পুলিশের উপর হামলা করে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে থাকা নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছে।’
পরে পুলিশ নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আটক করে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বলেন, পুলিশের ওপর আমাদের কেউ হামলা করেননি। পুলিশই আমাদের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে। ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আহত হয়েছেন ২০ নেতা–কর্মী। আহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কোতোয়ালী থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা–কর্মীরা অকারণে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেন। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তিনি বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীকে আটক করা হয় বলে জানান।