‘চট্টগ্রামের মানুষ একটি ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবে’

চট্টগ্রামের জনসভা পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়িয়ে যাবে এবং চট্টগ্রামের মানুষ জাতিকে একটি ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জনসভাকে সামনে রেখে সকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনসভায় কত মানুষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই হিসাবটা এখন না বলি। এই হিসাবটা আপনারা করবেন, জনসভা হলে আপনাদের মুখ থেকে আসবে মানুষের সংখ্যা, সেটার অপক্ষোয় আছি। চট্টগ্রামে অতীতে অনেক জনসভার ইতিহাস রয়েছে। আগামী চার তারিখের জনসভা অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো জনসভা করে না। তিনি বলেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়।

পলোগ্রাউন্ডে বিএনপি সমাবেশ করেছে, সেটা ছিল বিভাগীয় মহাসমাবেশ। এর সঙ্গে আমাদের সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি একটি জেলার জনসভা। বিভাগীয় জনসভার সঙ্গে একটি জেলার জনসভার তুলনা কিংবা পাল্টা কর্মসূচি হয় না। বিএনপি মহাসমাবেশ করবে, তাদের জন্য মাঠ প্রস্তুত করে রেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে তাদের জনসমর্থন প্রকাশ করতে পারবে।

আওয়ামী লীগচট্টগ্রামের জনসভাপলোগ্রাউন্ডপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা