সাকার বাড়ি গুডস হিল ঘেরাও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের, গেটে প্রতীকি তালা

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর নগরের বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠন। তারা ‘গুডস হিল’গেটে প্রতীকি তালা ঝুলিয়ে দেয়।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যর দায়ে সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা করে একমাসের ভেতর গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়াও বিশিষ্টজনরা অংশ নিয়েছেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সাকা চৌধুরীর ছেলে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচি পালনকারীরা গুডস হিলের প্রবেশপথে দেয়ালে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র রাজাকারের বাড়ি’।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে তারা সাকা চৌধুরীর বাসা গুডস হিলের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে বিভিন্ন বক্তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে গুডস হিলের কী ভূমিকা ছিল এবং সাকা চৌধুরীসহ তার পরিবারের কী ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরা হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‌‘বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ শব্দগুলো আমাদের অস্তিত্ব। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জনসভায় প্রকাশ্যে শহীদ বলায় আমরা মনে করি, এটা লাল-সবুজের পতাকার অবমাননা।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো সাকা চৌধুরীর গুডস হিলে। পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতেন এই যুদ্ধাপরাধী।’

উল্লেখ্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন সাকা চৌধুরী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর তার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।

Chattogram24saka