জামালখানে ৭ বছরের শিশু মারজানকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসামী লক্ষণ দাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় বস্তাতে টিসিবি’র সীল আছে। টিসিবির সীলযুক্ত বস্তা ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে শ্যামল স্টোর নামক একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আসামী লক্ষণ দাশ কে গ্রেফতার করা হয়।
জামালখানে নিখোঁজ শিশু মারজানার বস্তাবন্দী লাশ
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারের পর আসামী লক্ষণ দাশ পুলিশকে জানায় ভিকটিম মারজানা হক বর্ষা কে সে বিভিন্ন সময়ে দোকান থেকে চিপস, চকলেট দিত। ঘটনার দিনও সে ভিকটিমকে একশ’ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দোকানের গোডাউনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
বিকেলে গ্রেপ্তার লক্ষণ দাস আদালতে স্বীকারেক্তিমুলক জবান দেয় বলে জানায় কোতায়ালী থানা পুলিশ।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশু মারজানা হক বর্ষা নিখোঁজ হয়। এরপর তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করেও না পাওয়ায় সাধারণ ডায়েরি করে থানায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর জামালখানার একটি নালা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।