বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন সংগঠন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের অনুপ্রেরণা দিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাথে ইপসা দীর্ঘমেয়াদী কাজ করতে আগ্রহী। আমরা উন্নয়নকাজে সবসময় ইতিবাচক। উন্নয়নকর্মী হিসেবে আমরা গণমানুষের কাছে যেতে পারি। তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ হয়। আর আমাদের এই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে হলে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। চট্টগ্রামের সাংবাদিকসমাজ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের জন্য নানা ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রবর্তন করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আরিফুর রহমান বলেন, আমি সংবাদকর্মী হিসেবে সীতাকুণ্ডে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করি। এজন্যে এই পেশার এবং এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত সাংবাদিকদের জন্য আলাদা একটা দরদ রয়েছে। আগামীতে সকল কর্মকাণ্ডে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সবকথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমানকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান আরিফুর রহমান বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দেশের ২২ টি জেলায় ইপসার মাধ্যমে তৃণমূল, সুবিধাবঞ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। আগামীতে প্রেস ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকার জন্য সংগঠক আরিফুর রহমানের প্রতি আহ্বান করেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম।
এ সময় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, বিএফইউজে সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, স্থায়ী সদস্য জাহিদুল করিম কচি, মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রদীপ নন্দী, জালাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল করিম মানিক, রনজিত দে, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, মুস্তফা নঈম, জামালুদ্দীন ইউছুফ, গোলাম সরওয়ার, আফজল রহিম সিদ্দিকী, তাপস বড়ুয়া রুমু, শিশির বড়ুয়া, আলমগীর সবুজ, বিপুল বড়ুয়া, তপন দাশবর্মন, মুজাহিদুল ইসলাম, আল রাহমান, সাইদুল আজাদ, কামাল উদ্দিন খোকন, নিপুল কুমার দে, রাজেশ চক্রবর্তী, আবুল কালাম বেলাল, অমিত বড়ুয়া, মান্নান মেহেদী, আবু মোশাররফ রাসেল, সাইদুল ইসলাম, এনামুল হক, রেজা মুজাম্মেল, শৈবাল আচার্য্যসহ বিপুল সংখ্যক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।