করোনা রোগীর সেবায় চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ ডেডিকেটেড আইসিইউ ইউনিট চালু করেছে এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ১৬ শয্যা বিশিষ্ট ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) চালুর মাধ্যমে এই ডেডিকেডেট সার্ভিস চালু করেছে হসপিটালটি। এছাড়া ১০টি এইচডিইউ বেড এবং পর্যাপ্ত হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে হসপিটালটিতে।
শুক্রবার (৩০ শে জুলাই) নগরীর জিইসি মোড়স্থ এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৬ শয্যা বিশিষ্ট ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান।
এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটালের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোর্শেদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চসিক প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, ডা. সৈয়দ নুরুল কিবরিয়া, ডা. মাহাদী হাসান রাসেল প্রমুখ।
এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টি সেন্টার-এ রয়েছে ১০০ বেড, ২২৫ জন কর্মচারী এবং ২ টি ও.টি রুম, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ), হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচ ডি ইউ), ভিআইপি কেবিন, জেনারেল কেবিন, ফার্মেসী, আন্তঃ বিভাগ ও বহিঃ বিভাগে রোগীর চিকিৎসা সেবা, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
এ পর্যন্ত এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল ৩০৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২২৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। হসপিটালে ১০টি এইচডিইউ বেড এবং পর্যাপ্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাও রয়েছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্বাবধানে, অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, দ্বারা রোগীদেরকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানসহ সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ডিজিটাল মেশিনে সকল প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা নির্ভূল রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে শতভাগ উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টি সেন্টার’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সালাউদ্দীন আলী জানান, গত কয়েক দিন ধরে রোগীর চাপ অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগীর স্বজন ভর্তির জন্য যোগাযোগ করছেন। সমান সংখ্যক রোগীর স্বজন যোগাযোগ করছেন আইসিইউর জন্য। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীর স্বজনরাও আইসিইউর জন্য যোগাযোগ করছেন। করোনা রোগীর পাশাপাশি জেনারেল রোগীর চাপও বেড়েছে প্রচুর।