চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন চট্টগ্রাম মহানগরীর ২২০ জন এডভোকেট ক্লার্ক ও ভাসমান দোকানদারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টিঁ সাবান।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের মন্ত্রী পরিষদ ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনদেরকে সরকারী সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সমাজের অস্বচ্ছল কেউ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজের কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি এডভোকেট ক্লার্ক, ভাসমান দোকানদার, নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ছিন্নমুল, হিজড়া জনগোষ্ঠী, দুস্থ, হতদরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন অসহায়-অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের সকলকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবেনা। সবাই সতর্কতা অবলম্বনসহ সরকারী বিধিনিষেধ মেনে চললে করোনা যুদ্ধে অবশ্যই জয়ী হবো।
ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে সরকারী ৩৩৩ নম্বরে ফোন ও আমাদের কাছে এসএমএস করছেন প্রত্যেককে বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ মাসুদ কামাল, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা নাজির মোঃ জামাল উদ্দিন প্রমূখ।
ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন স্বেচ্ছাসেবক টিম যুব ফাউন্ডেশন ও পূর্বাশার আলো।