জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ চট্টগ্রামের প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি শামশুল আলম বলেছেন, বিগত স্বৈরচার সরকারের সময়ে দেশের সংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। দলীয় মতাদর্শের বাইরের হলে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্যতা থাকার পরও অনেক জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী, নাট্যকার, অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর সরকার পরিবর্তন হলে দেশের মানুষ নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের অর্জন এটা ধরে রাখতে না পারলে স্বৈরাচার গোষ্ঠী আবার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

গতকাল সোমবার ( ৬ জানুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও জাতীয় কবিত মঞ্চ চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি কামরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মিলনী-২০২৫ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. মাহফুজুল হক, উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গীতিকার মাহমুদুল হাসান নিজামী, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা, এনুমিয়া আয়শাখাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাহী, জামালখান ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুস সালাম নিশাদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি এম হাশেম আকাশ। বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গীতিকার নজরুল ইসলাম, কবি সুলতান আহমেদ কমল, বিটিভি ও বেতারের সুরকার ও গীতিকার সংগীতি গুরু দিলীপ ভারতী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক ফজল আহমেদ, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য দিপক কুমার পালিত, এডিশনাল পিপি আবু তাহের চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার শিল্পী মৌ চৌধুরী, চন্দনা চক্রবর্ত্তী, সুকুমার দে, লালন শিল্পী লুপর্ণা মুৎসুর্দ্দী লোপা, গীতা আচার্য্য, মিলন আচার্য, এস. কে মানিক, জুয়েল দ্বীপ, সুধামা দাশ সুজন, রুপনা দাশ, বেবি মজুমদার নুপুর, আবৃত্তিকার উপস্থাপক সুমন দত্ত, কৌতুক অভিনেতা আয়মান ওসমান, সংগীত শিল্পী এস আই রানা, পাপড়ী বৈরাগী, রঞ্জন মালাকার, ম্যানেজার মতিউর রহমান ফরহাদী, নারী নেত্রী জন্নাতুন নাঈম চৌধুরী রিকু, কবি তানিয়া সুলতানা, সাবেক সমবায় অফিসার শহীদুল ইসলাম, শাহিনা ইসলাম, মৌ মনি চৌধুরী, লাকী দত্ত, সংগীত শিল্পী খোকন মুজমদার রাজিব, সমীর পাল, নারী নেত্রী রোজি চৌধুরী, নাট্যকার সেলিম উদ্দীন, নাট্যকার মোহাম্মদ মহসিন, সংস্কৃতিক কর্মী সুলতান শাহা, দোলন, বিএনপি নেতা শাহজাহান, যুবদল নেতা মোস্তাক তালুকদার নয়ন, মোহাম্মদ নুরুদ্দীন, সংস্কৃতিক কর্মী মানস চৌধুরী, মুরাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আরিফ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও আবৃত্তিকার সোমা মুৎসুর্দ্দী ও আবৃত্তিকার সুমন দত্ত।