ভোট না দিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা, এখানে কাজ করবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মালিকানা নিয়ে টানাটানি করলে শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে। আন্দোলন এবং আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসাব যদি করতে হয়, আমরা (বিএনপি) যেই হিসাব দিব আপনারা লজ্জা পাবেন। আন্দোলনের মালিকানা মানে জনগণ তাদের ভোটে যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করবে। এটা নিয়ে কেউ খেলাধুলা করলে আবার শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে। আপনারা ভোট না দিয়ে নতুন নতুন বয়ান সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা, এখানে কাজ করবে না। ভোটে যেতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে নগরীর বিপ্লব উদ্যানে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সংসদ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এর বাইরে আর কোনো দায়িত্ব নেই। আর যে সংস্কারের গল্প করা হচ্ছে সেগুলো হবে আগামী সংসদে। অর্থাৎ নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যত সংস্কার প্রয়োজন তা করবে।
আন্দোলন ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চাচ্ছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, আন্দোলনের নামে আজ আমরা নতুন নতুন বয়ান শুনছি। আন্দোলন ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আন্দোলন কি হাইজ্যাক করার মতো বিষয়? আন্দোলন কি এমন জিনিস যে হাইজ্যাক করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন? বয়ান দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখবেন। আমরা এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। এ আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।
আমীর খসরু বলেন, ‘তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, বিএনপি একা আন্দোলন করেননি। দেশের সমস্ত মানুষ আন্দোলন করে আমরা এ ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি। আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসেব যদি করতে হয়, আমরা যে হিসেব দেব আপনারা লজ্জা পাবেন। হিসেব কিন্তু দিচ্ছি না। আমরা চাই না আন্দোলনকে নিয়ে দেশে একটি বিভক্তি সৃষ্টি হোক। আমরা চাই আন্দোলনকে নিয়ে দেশে ঐক্য সৃষ্টি হোক।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ৯০ সালে ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। আর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে ছাত্রদলের শক্তিশালী ভূমিকার কারণে। তাই আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি উদ্ধার হয় নাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলকে রাজপথে থাকতে হবে। দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, না হলে ছাত্র সমাজ আবারো রাজপথে নামবে।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।