চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড

২০২৪ সালে কন্টেইনারে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, কার্গোতে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বিশ্বের ৬৭তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরকে গত কয়েক বছর ধরেই নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। এরইমধ্যে ডলার সংকটের মুখে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে লাগাম টানায় ভাটা পড়েছিল বন্দরের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে। ২০২৩ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩০ লাখ ৫০ হাজার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ১২ কোটি ২ লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছিল।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাশাপাশি সেপ্টেম্বরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। এতো সংকটের মাঝেও ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরে ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ টিইইউস কন্টেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৪ টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় কন্টেইনারে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, কার্গোতে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।

চট্টগ্রাম বন্দরে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭টি। বহির্নোঙরে জাহাজের গড় অপেক্ষার সময় ১ দিনে নেমে এসেছে। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা কমেছে ২৩৬টি। ২০২৪ সালে বন্দরে জাহাজ এসেছে ৩,৮৬৭টি। ২০২৩ সালে এসেছিল ৪,১০৩টি বলেন তিনি।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী, রাজস্ব আয় হয়েছে ৫০৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা- যা গত বছরের (রাজস্ব আয় ৪১৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা) তুলনায় ২১ দশমিক ৩৯ বেশি এবং রাজস্ব উদ্বৃত্ত ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষানুসারে ২,৯৪৮ কোটি ৯৭ লাখ হয়েছে- যা গত বছরের (২১৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা) চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী, রাজস্ব ব্যয় ২,১০৭ কোটি ২ লাখ টাকা- যা গত বছরের (রাজস্ব ব্যয় ২০২২ কোটি ৮ লাখ টাকা) তুলনায় ৪ দশমিক ২০ শতাংশ কম।

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৪-১৫ বছর যাবত থাকা অতিদাহ্য সোডিয়াম নাইট্রো ক্লোরাইডবাহী ৪টি কন্টেইনার গত ২৭ অক্টোবর নিলামের মাধ্যমে বিডারকে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৫২ টিইইউস কন্টেইনারের পণ্য ধ্বংসের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে শুল্ক বিভাগ কর্তৃক (৬ অক্টোবর থেকে ২৩ ডিসেম্বর) ৫৯ টিইইউস কন্টেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজের সক্ষমতা ও সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে।