আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালত ও সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়ে সরকার যদি কোনো দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে, তবে সেই দলের রেজিস্ট্রেশন নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে পারে না। এটা রাজনৈতিক বা আদালতের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রেজিস্টার্ড দল। আদালত ও সরকার নিষেধাজ্ঞা না দিলে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোনো বাধা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মত বিনিময় করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, তারা ভোটারদের আস্থাহীনতা দূর করতে চান, এ জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৬ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে পারবেন। ভোটার তালিকা থেকে যারা বাদ পড়ে গেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে চান জানিয়ে বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো হবে না। এ জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, সবার সহযোগিতা লাগবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। গত নির্বাচনের মতো বহিঃশক্তি নির্বাচন কমিশনে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন সব ধরণের ব্যবস্হা গ্রহণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এবার আর আগের মতো ভোট হবে না। পাঁচ আগস্টের পরে ভোটের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ৯১, ৯৬ এর মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। এখনও তারা সুপারিশনামা পাননি। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না, সিদ্ধান্তও নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ভুয়া ভোটার আছে। তাছাড়া অনেকে মারা গেছেন। কিন্তু যারা মারা গেছেন তাদের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। কেউ মারা গেলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে তাদের স্বজন আসেন না! এই সুযোগ নেওয়া হয়েছিল বিগত নির্বাচনগুলোতে। পুরুষ ভোটার থেকে নারী ভোটার কম জানিয়ে সিইসি নাসির এজন্য মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।