নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড় উৎসব ‘বড় দিন’। নগরের পাথরঘাটায় ৫০০ বছরের পুরোনো গির্জায় বড় দিনে চলছে বড় আয়োজন। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে ঐতিহ্যবাহী পবিত্র জপমালা রানির গির্জা। বড় দিন উপলক্ষে তিন দফা অনুষ্ঠিত হচ্ছে খ্রিষ্টযাগ বা প্রার্থনা। ছিল কয়্যার দলের পরিবেশনা। প্রভু যিশুখ্রিষ্টের স্মৃতিবিজড়িত গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর রেখায় ক্রিসমাস ট্রি নজর কাড়ছে ভক্তদের।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলায় খ্রিষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আর্চ বিশপ হাউসে বড় দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অতিথিরা।
শুধু পবিত্র জপমালা রানির গির্জা নয়, নগরের সেন্ট মেরিস, এজি চার্চ, আনোয়ারা, পাহাড়তলী, বোয়ালখালীসহ বিভিন্ন স্থানের গির্জাগুলোতে বড় দিনের প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া বুধবার ক্যাথিড্রাল গির্জায় সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলায় মহা-খ্রীষ্টযোগ, নগরের বাহিরসিগনাল গির্জায় সকাল ১০টায় এবং বোয়ালখালী উপজেলার চান্দেরিয়ায় সকাল সাড়ে ৯টায় খ্রীষ্টযোগ অনুষ্ঠিত হয় তবে বিকেলে আর কোনো খ্রীষ্টযোগ অনুষ্ঠিত হবে না। সকালে প্রার্থনা শেষে অতিথিদের নিয়ে কেক কাটা হয়
এদিকে বড়দিনকে ঘিরে বিভিন্ন গির্জা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা পুলিশ।
বড়দিনকে ঘিরে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ, দ্য পেনিনসুলা চিটাগাংসহ অভিজাত হোটেলে ক্রিসমাস ট্রিসহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। খ্রিষ্টপল্লীর ঘরে ঘরে ক্রিসমাস ট্রিসহ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সেন্ট জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট নামে প্রথম গির্জা স্থাপিত হয় ২৪ জুন ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে। ৮ নভেম্বর ১৬০২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর ধ্বংস করা হয়। প্রথম গির্জার ধ্বংসস্তূপের ওপর পবিত্র জপমালার রানি গির্জাটি ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে।