রাঙ্গুনিয়া থেকে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

দীর্ঘ ২১ বছর পর ফটিকছড়ির আলোচিত প্রবাসী নেছার আহমেদ তোতা হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি জংগুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার রাতে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন রানীরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতদিন সে গ্রেপ্তার এড়িয়ে পলাতক ছিল। গ্রেপ্তার জংগু ফটিকছড়ি থানার শাহনগর এলাকার খায়ের আহমদের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এআরএম মোজাফফর হোসেন জানান, আসামি জংগু রাঙ্গুনিয়া থানার রানীরহাট অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাস ফেরত নেছার আহমেদ তোতাকে হত্যা করে এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য নেছার আহমেদ তোতা ২০০৩ সালে দুবাই থেকে দেশে ফেরত আসেন। পাওনা টাকা নিয়ে স্থানীয় এজাহার মিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া এলাকার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ল্যাডা নাছিরের সাথেও শত্রুতা ছিল তোতার। এর জেরে ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ল্যাডা নাছির এবং তার সহযোগীরা তোতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরদিন লোক মারফত জানতে পারেন যে, দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কের ওপর অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মরদেহটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ প্রতিবেদন এবং মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলার ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।