আগামী দুই বছরে বিএসসির বহরে আরো আটটি জাহাজ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা জানান। নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে বিএসসির বহরে আরও আটটি জাহাজ যুক্ত হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে আশা করছি।
এ সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গত তিন মাসে আপনারা শোনেননি এ সরকারের কেউ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কোনও অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে। এমনকি বিশ্বব্যাংক থেকে অনেক সংস্থা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।
বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এত জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজেও রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদেরকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিট লাভ হতে ২৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ট) অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শেয়ারহোল্ডাররা সভায় অংশগ্রহণ করেন।