চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে মোরশেদ-আজাদ প্যানেল জয়ী হয়েছে। পরিষদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পূর্ণ প্যানেলে এ জয় লাভ করে।
নির্বাচনের ফলাফলে প্রেসিডেন্ট পদে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন ২৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ডা. কামরুন নেছা (রুনা) পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের আবদুল মান্নান রানা ২৭৯৪ ভোট, ডা. মোহাম্মদ পারভেজ ইকবাল শরীফ ২১৬২ ভোট এবং ডা. এ কে এম ফজলুল হক ২১১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জেনারেল সেক্রেটারি পদে সর্বোচ্চ ২৮১৯ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রেজারার পদে লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ ২৩৬৪ ভোট, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের মোহাম্মদ সাগির ২৫৩৬ ভোট, জয়েন্ট ট্রেজারার পদে লায়ন এস এম কুতুব উদ্দিন ২৩৬৩ ভোট, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদে ডা. ফজল করিম বাবুল ২৬৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া ১০ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪২ জন। এদের মধ্যে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের মোহাম্মদ আবুল হাশেম ১৬৪৭ ভোট, ডা. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ১৮১০ ভোট, ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৭১ ভোট, মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী ১৫২৭ ভোট, তারিকুল ইসলাম তানবির ১৯৩৬ ভোট, ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ঢালী ১৭১৪ ভোট, ডা. এটিএম রেজাউল করিম ১৬২৭ ভোট, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ ১৬৭১ ভোট, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ১৭৪১ ভোট এবং ডা. মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ১৬৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে ডোনার মেম্বারের দুটি পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের লায়ন মোহাম্মদ হারুন ইউসুফ ১৪৮ ভোট এবং ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ১৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) পদে মোরশেদ–আজাদ প্যানেলের ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) পদে মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যাহ এবং জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি পদে জাহিদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সারাদিন এ ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী।
নির্বাচনে ৯ হাজার ৭৪৪ জন আজীবন সদস্য ভোটারের মধ্যে ৩৬৫২ জন এবং দাতা সদস্য ৩৯৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে এবার দুটি পৃথক প্যানেল ছাড়াও লড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ, লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ ও রেজাউল করিম আজাদ প্যানেল এবং প্রফেসর কামরুন নেছা (রুনা), ডা. এম মাহফুজুর রহমান ও ডা. এম এ মান্নান প্যানেলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবেও কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই প্যানেল এবং স্বতন্ত্র মিলে ৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ৬২ জন নির্বাচনের মাঠে ছিলেন।