আলিফ হত্যা : চন্দনসহ ১০ আসামি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ ১০ আসামিকে বিস্ফোরক আইনে নতুন এক মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার বুধবার সকালে অবকাশকালীন চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের পর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন, আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও সনু দাস। তারা প্রত্যেকে আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।  এর আগে আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া জানান, ‘গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত চন্দন দাসসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় এরা ১০ জনই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে আসছে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে। এছাড়া নিহত সাইফুলের বাবা ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা এবং ভাই খানে আলম যানবাহন ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন।