চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়া যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ওরফে হরি তৌহিদ ওরফে ফরিদকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর থানার কামাল নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৌহিদ চান্দগাঁওয়ের শমশেরপাড়া এলাকার মো. সেকান্দরের ছেলে।
গ্রেপ্তার তৌহিদের রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর অনুসারী তা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই হত্যা মামলা।
এদিকে যুবলীগ নেতা অস্ত্রধারী তৌহিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাতে আজ শনিবার নগরের দামপাড়ায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) এক প্রেস বিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সেখানে উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. রইছ উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে তৌহিদ। ওই দিন একাই ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাকে (গ্রেপ্তার আসামি) জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
এর আগে তৌহিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার কামাল নগর এলাকা থেকে তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ৪ আগস্ট ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্রের বিষয়ে জানা যাবে।