শিক্ষার হার বাড়লেও মান বাড়েনি : মেয়র শাহাদাত

দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও, শিক্ষার মান বাড়েনি বলে মন্তব্য করে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত এক দশকে দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও মান বাড়েনি। ফলে, রাষ্ট্রের সর্বত্র নৈতিকতার অবক্ষয় দেখা গিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে কিশোর গ্যাং এর মতো নিকৃষ্ট কালচার, মাদকের পথে হেটে নষ্ট হয়েছে আগামীর প্রজন্ম। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে জোর দিতে হবে নৈতিক শিক্ষায়।

আজ বুধবার পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, শিক্ষার অগ্রগতির প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি পরিবর্তন করতে হবে। যারা এখানে নিয়মিত আসতে পারবে, ছেলেমেয়েদের খোঁজ-খবর নিতে পারবে, নিয়মিত শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে কথা বলতে পারবে, তাদেরকে নিয়ে ছোট আকারে একটি গভর্নিং বডি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আজকে একটি নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। আমরা চাই এজন্য সব জায়গায় একটি সাম্যতা থাকুক। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাই হচ্ছে একটা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কোন কিছুই হতে পারে না। আমাদের যেমন একটা স্পাইনাল কর্ড আছে। স্পাইনাল কর্ড ভেঙ্গে গেলে যেমন আমার শরীর প্যারালাইজড হয়ে যায়, ঠিক একইভাবে কোন জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা যদি ভেঙ্গে যায় তখন এই জাতি আর দাঁড়াতে পারেনা। “

বাংলাদেশকে আজকে একটি উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আজকের ছাত্র-ছাত্রী একদিন এদেশের কর্ণধার হবে, একদিন তারা বিচারক হবে বিচার করতে গিয়ে যদি কোন নিরীহ লোক যদি হয়রানির শিকার হয় তাহলে ওই শিক্ষার আর কোন দাম থাকবে না। পুঁথিগত বিদ্যার চাইতে নৈতিক শিক্ষায় সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে কারণ পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।

বৃহত্তর বাকলিয়ার উন্নয়নের বিষয়ে মেয়র বলেন, এই বাকলিয়া থেকে আমার রাজনীতির শুরু। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন না পশ্চিম বাকলিয়াতেই আমার বাড়ি। এখানে যে কর্ণফুলি ব্রিজটা দাঁড়িয়ে আছে এই কর্ণফুলি ব্রিজটা আমাদের বিএনপি সকারের মাধ্যমেই হয়েছে। যদিও পরে কেউ একজন সেখানকার ফলক লাগিয়েছে কিন্তু কমপ্লিট কাজটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াই করেন। আজকে আমরা দেখছি বাকলিয়ার যে উন্নয়ন কাজ, এর পিছনে প্রাক্তন সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান এর ব্যাপক ভূমিকা ছিল। তিনি এখানে রাস্তাঘাটের সংস্কার করেছেন এবং বাকলিয়াকে একটি মডেল টাউনে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে একটি কলেজ করেছি আপনারা জানেন শহীদ নুর হোসেন মিলন মোজাম্মেল জিহাদ কলেজ। এখানে একটা স্টেডিয়াম করেছি। আমাদের আরো একটা বড় একটি স্বপ্ন আছে এখানে একটা হসপিটাল তৈরী করবো। প্রাইভেট সেক্টরে একটি মেডিকেল হসপিটাল করার একটা পরিকল্পনাও আছে। সেটা কল্পলোকের মুখে করার পরিকল্পনা করছি। সেখানে অবশ্য সাশ্রয়ী মূল্যে যাতে সবাই চিকিৎসা পায় এই ব্যাপারে আমাদের চিন্তা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জিন্নাত পারভীন, আবদুল্লাহ আল সগির, আলী ইউছুফ, আলহাজ্ব মহিউদ্দিন, মো: আলমগীর, মো: জাহাঙ্গীর, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষকাবৃন্দ।