জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সরকার দেখতে চায় : খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার দেখতে চায়। দেশের রাজনীতি কি হবে, সে সিদ্ধান্ত জনগণের। এটা বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে জনগণ মানবে না। এরশাদ চেয়েছে, হাসিনা চেয়েছে, পারেনি। জনগণের সিদ্ধান্ত জনগণকে নিতে দেন, অন্য কেউ দিতে পারবে না। আমরা দিনক্ষণ বলছি না, আমরা বলছি সবাই মিলে দেশ গড়ি। সবাই মিলে হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। একক ক্ষমতায় গেলেও যাব না, সবাইকে নিয়ে ক্ষমতায় যাবে জাতীয় সরকার করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা ৩১ দফা ঘোষণা করেছি। ঐক্য মতের ভিত্তিতে সংস্কার হতে হবে। কেউ বসে এটা করতে পারবে না। আগামীদিনে এসব বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার।

আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।সমাবশে শেষে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ‘We revolt’ এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর ঐতিহাসিক স্থান চট্টগ্রাম বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র পর্যন্ত ‘যুব পদযাত্রার’  আয়োজন করে যুবদল।

স্বাধীনতা বা কোনো ব্যক্তি মূলধন বানিয়ে খারাপ কাজ টিকে থাকা যায় না মন্তব্য করে খসরু বলেন, ‘স্বাধীনতা বা কোনো ব্যক্তিকে মূলধন বানিয়ে কোনো খারাপ কাজ করে টিকে থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশে প্রমাণ হয়েছে। সেই শহীদ জিয়াউর রহমান; যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করেছিলেন। এটার মূল ভিত্তি ছিল— বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, অর্থনৈতিক মুক্তি, একটি স্বাধীন সার্বভ্রৌম দেশ, এখানে জনগণ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল আজকেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এ দলকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোনো কিছুই বাদ রাখেনি। আমাদের নেতাকর্মীরা চাকরি হারিয়েছে, বাড়িতে থাকতে পারেনি, পালিয়ে থাকতে হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর মিথ্যা মামলায় জেল কেটেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বলতে যা বোঝায় এগুলো এক ব্যক্তির নয়, এগুলোর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অনেকের ভূমিকা আছে। সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সকলকে স্বীকৃতি দিয়ে আমেরিকা সবাইকে সম্মান দিয়েছে। গুম, খুন হত্যা মামলা নিপীড়ন, আইনের শাসন কেড়ে নেওয়া হয়েছে এক ব্যক্তির নাম দিয়ে।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, সোহেল, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র অভিমুখে ‘যুব পদযাত্রা’ অংশ গ্রহণ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।