সাড়ে চারশো কোটি টাকা দেনা নিয়ে করপোরেশনের দায়িত্ব শুরু করেছি : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছি দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত সিটি কর্পোরেশন । বিপ্লব উদ্যানের দোকানগুলো থেকে ১০  থেকে ১২ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। লোপাট কারা করেছে আপনারা সব জানেন।গত ১০ বছরে ঐ দোকানগুলো থেকে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আসার কথা। সেখানে প্রতি বছরে ১ লক্ষ টাকা সিটি কর্পোরেশন পেত। কাজেই নিজের আখের গোছানোর জন্য তারা সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতির মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তাই বলছি, ধৈর্য ধরেন, আমাকে কাজ করার সুযোগ দিন। আমি চাই এই  সিটি কর্পোরেশন স্বাবলম্বী হোক।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপির কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় সাড়ে ৪শ কোটি টাকা দেনা নিয়ে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব শুরু করেছি উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন,  সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্পের প্রায় শতকোটি টাকার ২৫টি কাজ গণ খাতে ক্রয়বিধি না মেনে ঠিকাদারদের ভাগাভাগি করে দেয় সিটি করপোরেশন।

 নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের কারণে আজ শেখ হাসিনাকে পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে হয়েছে। তাই আমাদেরকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণের কল্যাণে জনগণের পাশে থাকতে হবে।বিএনপি সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। চট্টগ্রামবাসী ডা. শাহাদাত হোসেনের দিকে থাকিয়ে আছে। ভালো কিছু করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে হবে।

যুবদল নেতা মুস্তাকিম মাহমুদ ও মো. হাসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন কাওসার লাভু, মহানগর যুবদল নেতা জিয়াউল হক মিন্টু, মো. জসিম উদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, ইদ্রিস সবুজ, মো. সেলিম, ইসমাইল হুসাইন লেদু, মো. সোহেল, রিদওয়ানুল হক, জাকির হোসেন, সাদ্দামুল হক, মো. আমিনুল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, শফিউল বশর সাজু, ইয়াকুব খান, মো. রায়হান, মো. মিজান মো. সাব্বির, রবিউল, মো. ফারুক, মো. খলিল, মো. আলি, জাবেদুল হক, জাহেদ, রাকিবুল হাসান, রহিম মিনু, রাজিব, রাজু আহমেদ প্রমূখ।