হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নগরের কোতোয়ালী থানাধীন হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় সুমন চৌধুরী নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে লাভলেইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। করা হয়। গ্রেপ্তার সুমন চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

বিষয়টি আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ইন্ধনদাতা সুমন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুমন।

গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ইসকন নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যযুক্ত একটি ফটোকার্ড নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন হাজারি গলির মিয়া শপিং সেন্টারের মোল্লা স্টোর নামে দোকান মালিক ওসমান গণি। আর সেই পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে একইদিন বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়দের একটি অংশ সেই দোকান ভাঙচুর করে এবং ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ চালায়। একপর্যায়ে তাকে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা পোস্টদাতা ওই ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। এরপর তারা পুলিশ ও সেনাসদস্যদের ওপর ‘এসিড’ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা সংঘর্ষে জড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে। এরপরই জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাত আনুমানিক ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯ জনের বিরুদ্ধে পরদিন মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় হামলার শিকার পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে মামলা করে। তদন্ত সংস্থাগুলো জানতে পারে, ওই হামলার মাস্টারমাইন্ডদের অন্যতম ছিলেন সুমন চৌধুরী।