ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়ে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি। ছেলে হত্যায় জড়িত তিন আসামি প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেনা । উল্টো আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন ২০২২ সালে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রসুলবাগ এলাকায় হত্যার শিকার হওয়া নিহত ইমরানের পরিবার।
রোববার ( ২০ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের বৈঠক খানায় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত ইমরানের মা আছিয়া বেগম।
সংবাদ সন্মেলনে আছিয়া বেগম বলেন, ছেলে হত্যার ৩১ মাস পেরিয়ে গেলেও চিহ্নিত আসামীরদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সেক্টরে ধর্ণা দিয়ে আমি আজ হাঁপিয়ে উঠেছি। মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরাফেরা, তাদের হুমকি ধমকিতে আমরা প্রতিটি মুহুর্ত আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার কলিজার ধন ইমরানের তিন হত্যাকারী মো. নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও খোকন এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো আসামিদের হুমকি ধমকিতে প্রতিনিয়ত আতংকে দিন যাপন করছি। আমি আমার ছেলে হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
ছেলে হত্যার বর্ননা দিয়ে আছিয়া বেগম জানান, বাকলিয়ার এল ব্লকের খালপাড় রসুল বাগের একটি বাসাতে আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। সে সুখ কেড়ে নিয়েছে চিহ্নিত ওই তিন হত্যাকারী। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হত্যাকারী মো. নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর, খোকন দুপুরের দিকে আমার ছেলের মোবাইলে ১৬ বার কল দেয়। পরে তাদের বারবার ফোনে বিরক্ত হয়ে আমার ছেলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর ফিরেছে লাশ হয়ে। আমার ছেলেকে হত্যার পর বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি সেদিন আমার মামলা নেয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে বাকলিয়া থানায় মামলা হয় । যার নম্বর ৩৬/২৭৬। তিনি বলেন, যদিও বাকলিয়া থানার পরে আসা ওসি আমাকে অভয় দিয়ে বলেছিলেন, তিনি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করবেন। কিন্তু ছেলে হত্যার ৩১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। উল্টো আসামিরা নানা সময়ে আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। যার আমরা প্রতিদিন আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
সংবাদ সন্মেলনে নিহত ইমরানের বোন জেসমিন আক্তারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।