মেয়র হিসেবে শপথ নিতে বাঁধা নেই শাহাদাতের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে বাঁধা নেই ডা. শাহাদাত হোসেনের। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ সংক্রান্ত যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই প্রজ্ঞাপন থেকে ‘চট্টগ্রাম’ বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ডা. শাহাদাত হোসেনের আর কোনো আইনি বাঁধা থাকল না।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মেয়রদের অপসারণ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আর কোনো বাধা নেই। আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই চসিক মেয়র হিসেবে শপথ নিবেন তিনি।

এর আগে, গত ১ অক্টোবর ডা. শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত। পরে আট দিনের মাথায় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর স্থলে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট সংশোধনীর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তৎকালীন আহবায়ক শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পাওয়ায় গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।