কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ চট্টগ্রামে চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা ও একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছেন।
দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ৬ থেকে সাড়ে ছয় হাজার অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলায় ১০০ থেকে দেড়’শ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করা হয়েছে । এছাড়া আলাদা ভাবে মারামারির ঘটনায় নগরীর খুলশী ও পাঁচলাইশ থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার ( ১৭ জুলাই) সকালে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এ পর্যন্ত ৪টি মামলা হয়েছে, আরো কয়েকটি মামলা হতে পারে। পাঁচ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আন্দোলনের নামে চট্টগ্রামে কোন সহিংস ঘটনার চেষ্টা করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।এ ঘটনায় আরও মামলা দায়ের হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম।
এদিকে চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের গতকালের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২জন ও বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে ৪জন ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউতে সংকটাপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেই সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে আরো ৩০ জনের বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায়ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।