পাহাড় ধসের শঙ্কায় এবার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের সরে আসতে মাইকিং করছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে নগরের সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের আশেপাশের স্কুল, কলেজ মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় নগরের সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৮তম সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো’ তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) তানভীর আল নাসিফ জানান, বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে আসতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নগরের সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের আশেপাশের স্কুল, কলেজ মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে ছয় জন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নগরের আকবরশাহ ঝিল ১, ২ ও ৩ নম্বর এলাকা, বিজয়নগর পাহাড়, শান্তিনগর পাহাড়, বেলতলীঘোনা পাহাড় থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর আল নাসিফ আরো বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্ব স্ব এলাকায় নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি সুসমন্বয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী দলকে সক্রিয় রাখা হয়েছে।