রাজধানীর মগবাজারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকার আড়ংয়ের শো-রুমের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৩টি ইউনিট কাজ করছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় তিনতলা একটি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আড়ং শো-রুমের ১৪তলা ভবনের চতুর্থ তলা পর্যন্ত জানালার কার্নিশ ধসে গেছে।
রমনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণ ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে মোট ছয়জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৪১ জনকে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মগবাজারের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগে আরও অনেক রোগী আসছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৩টি ইউনিট কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, ‘আমরা একটি এসি বিস্ফোরণ হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। কেউ কেউ ফোন করে বলেছে গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ।’
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম আজম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখানে অর্ধশতাধিক আহতের খবর পাচ্ছি। তবে এখনো নিশ্চিত নয়।’