ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে এগোচ্ছে উপকূলের দিকে। এর প্রভাবে উপকূলের ১৬ জেলা এবং এর আশপাশের দ্বীপ ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে পাহাড়ে ভূমিধ্বসও হতে পারেবলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ।
রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জারি করা ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলের অন্তত ১৬টি জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
যেসব জেলা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে সেগুলো হলো— খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুব দ্রুতগতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টার পর পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার পাশ দিয়ে খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগতে পারে।
এ সময় উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনীসহ অন্যান্য জেলায় ৪ ঘণ্টা যাবৎ তাণ্ডব চালাবে রেমাল। এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলো ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের নৌ বন্দরকে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।