বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিতে কুকি-চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হঠাৎ করে শুনলাম বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির প্রচেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে যা তথ্য এসেছে কুকি-চিন; এই গ্রুপটি আগেও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছিল।’

‘ইদানীং আমরা দেখছিলাম, এই কুকি-চিন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছিল। রুমার ঘটনায় এ পর্যন্ত আমরা যা শুনেছি, সোনালী ব্যাংকে ঢোকার আগে তারা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে। তারপর তারা সোনালী ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হন,’-বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং অধিকাংশই তারাবিহ নামাজরত ছিলেন। সেই সময় তারা ঢোকে। পুলিশের গার্ড কমান্ডার এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) মামুনুর রহমান ও কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে দুটি এসএমজি ও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করেন। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসার বাহিনী যারা ছিল, তাদের শটগানও তারা লুট করে নিয়ে নেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনালী ব্যাংকের ভল্ট একটা ভাঙেন, আরেকটি বোধ হয় ভাঙতে পারেননি। এগুলো আমাদের আনুষ্ঠানিক তথ্য নয়।’

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলেও এ সময় জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কত টাকা নিয়ে গেছেন সেই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে আসেনি।

‘আজকে দিনের বেলায় আমরা আবার দেখলাম, থানচিতে তারা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে অ্যাটাক করেছেন। এই অপারেশনটা এখনো চলছে। আমাদের বিজিবি-পুলিশ সেখানে গুলি করছেন। এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারব না যে কত টাকা নিয়েছেন বা ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে। পুরো তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে আসেনি,’ বলেন তিনি।